সকল বাঁশি শিল্পী, শ্রোতা, শুভানুধ্যায়ী ও পৃষ্ঠপোষক কে শুভেচ্ছা।
আমাদের সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলোতে আপনার আগ্রহের কারণে আমার কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে জেনেছেন, আমরা ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন থেকে, গুরুকুলের আর্ট কালচারের ১৪ টি প্লাটফর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
তার মধ্যে Flute বা বাঁশি একটি।
বাঁশি আমাদের ভূখণ্ডের সবচেয়ে প্রাচীন সুষির যন্ত্রগুলোর একটি। আমাদের প্রাচীন কাব্য, সঙ্গীত ইত্যাদিতে বাঁশির প্রভাব খুব স্পষ্ট। আমদের সব রকম সঙ্গীতে সহযোগী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি একক যন্ত্র হিসেবে বাঁশি সুপ্রতিষ্ঠিত। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষ বা পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার হাত ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অঙ্গনে বাঁশি তার নিজের জায়গাটি আরও পাকা করেছে।
আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পেশাজীবী বাঁশি শিল্পী তৈরি করা।
সেই সাথে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আরও বাঁশি বাদনের রসিক শ্রোতা তৈরি করা।
এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিয়মিত অনলাইন ক্লাস ও টিউটোরিয়ালের।
যেগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা বাঁশি বাদনের টেকনিক গুলো খুব সহজে রপ্ত করতে পারবে।
নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুরোধেও ক্লাস তৈরি হচ্ছে।
তৈরি হচ্ছে বাঁশির নানা রকম পারফর্মেন্স।
আর এই সব কিছুই ফ্রি, আমাদের পক্ষ থেকে উপহার।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই – আমরা পেশাজীবী শিল্পী তৈরির জন্য, এবছর থেকে বাঁশি বাদনে একটি বাৎসরিক বৃত্তি দেব।
যার অর্থমূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। এই অর্থ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় তালিম বা ঘরে বসে রেয়াজ অথবা গবেষণা করার জন্য দেয়া হবে।
যারা সিরিয়াস মিউজিসিয়ান হতে চান, এরকম অনেক মেধাবী ছেলে/মেয়েদের সঠিক তালিম পাবার ব্যবস্থা নেই।
অনেকের আবার তালিম থাকলেও, পেশার চাপে ঘরে বসে রেয়াজ করার স্বাধীনতা নেই।
কেউ হয়তো বাঁশি নিয়ে কোন গবেষণা করতে চাচ্ছেন, সেটার জন্য ফান্ড নেই।
এমন প্রার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি।
আমাদের ঘোষনাগুলোর দিকে নজর রাখুন। সেখানে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করুন।
আপনাদের আবেদন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যাচাই বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।
নতুন শিল্পী তৈরির পাশাপাশি আমরা বিশ্বাস করি গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হয় না।
তাই আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশি বাঁশি শিল্পীদের মধ্য থেকে একজনকে সম্মাননা প্রদান করবো।
সম্মাননার অংশ হিসেবে থাকবে ২ লক্ষ টাকা পরিমাণ নগত অর্থ।
আমাদের গুণী শিল্পীদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আপনারাও যদি মনে করেন এমন যোগ্য কারও নাম আমরাদের দৃষ্টির বাইরে আছে। তার নাম আমাদের ডেসক্রিপশনে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাব করতে পারেন।
আশা করি আমাদের সবার চেষ্টায়, বাংলাদেশ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক মানের বাঁশি শিল্পী, গবেষক তৈরি করতে পারবো। যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।
আপনার পরিচিত আগ্রহীদের এই বার্তাটি পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো।
সবাই ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছান্তে,
ড. সীমা হামিদ’
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বাঁশি গুরুকুল
সাভাপতি, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন
আমি বাঁশি শিখতে চাই