Site icon বাঁশি গুরুকুল [ Bansuri Gurukul BN ] GOLN

পর্ব ২: বাঁশি থেকে শব্দ বের করতে শেখা

পর্ব ২ বাঁশি থেকে শব্দ বের করতে শেখা

পর্ব ২ বাঁশি থেকে শব্দ বের করতে শেখা

পর্ব ২: বাঁশি থেকে শব্দ বের করতে শেখা

প্রতিটা বাদ্যযন্তত্রের আওয়াজ বের করা এবং সঠিক উপায় ধরতে শেখা অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ। কিছু যন্ত্রে এই প্রাথমিক কাজগুলো শিখতে খানিকটা বেগ পেতে হলেও, বাঁশির ক্ষেত্রে এটি তুলনামুলক সহজ। যেকোন বাঁশি দিয়েই চাইলে শিখতে শুরু করা গেলেও, বা-হাতী/ডান-হাতী দের বিষয়টি মাথায় রেখে বাঁশি কেনা দরকারি। বাঁশির ছিদ্রগুল কখনই সমানভাবে সারিবদ্ধ্য না থাকায়, ডান হাত এবং বাঁ হাতের আলাদা বাঁশি বানাতে হয়। যদি কেও বাঁ হাতি হয়ে থাখেন, তাহলে ঠোঁট থেকে বাঁ দিকে বাঁশি রাখতে হবে।

[ পর্ব ২: বাঁশি থেকে শব্দ বের করতে শেখা ]

শব্দ বের করতে শেখার আগে, একটি স্বাভাবিক ভাবে সমান্তরাল যায়াগায়ে আরামদায়ক ভাবে বসার উপায় বের করা জরুরি। দীর্ঘক্ষণ অনুশীলনের সময় মেরুদন্ড ভুল ভাবে না রেখে, আরামদায়ক এবং স্বাভাবিক আছে কিনা তা খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসার উপায় নিশ্চিত হতে পারলেই আমরা বাঁশি থেকে সব্দ বের করার জন্য প্রস্তুত। বাঁশির সব্দ তইরির মূল ছিদ্রটি নিচের ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে, নাকের ডগা বরাবর রাখতে পারলে, শুরু করার জন্য একটি আদর্শ কায়দা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাঁশির প্রধান ছিদ্রটি নাক বরাবর রাখা অত্যাবশ্যক।

Flute, Bansuri, বাঁশি, बांसुरी

বাঁশিতে ফু দেয়ার উপায় জানার সময় আসে এর পরেই। ফু দেয়ার কথা এলে আমরা সাধারনত মোমবাতি নেভানর মত করে ফু দেয়ার কথাই ভাবি। বাঁশি তে ফুঁ দেয়ার উপায় সম্পূর্ণ আলাদা। নিচের ঠোঁট কিছুটা চ্যাপ্টা রেখে, দুই ঠোঁটের মাঝখানে খুব সরু একটি পথ রাখতে হবে বাতাস বের করার।

বাঁশি থেকে আওয়াজ বের করতে বাতাস প্রবাহের পথ এবং সঠিক জোড় নিশ্চিত করা সহজ হবে এইভাবে। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিক থাকলে, এবার বাঁশিতে ফুঁ দেয়া যেতে পারে। বাঁশির ফুঁ ঠিক কথায় গিয়ে লাগছে, তার উপরে সুরের অনেকটাই নির্ভর করে। এটার সঠিক যায়গাটি বের করতে কিছুতা সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে, বাঁশিটি একটু ঘুরিয়ে ছোটছোট ফুঁ দিয়ে কোন আওয়াজটি আপনার কাছে সোঠিক মনে হয়, তা নিয়ে একটু সময় কাটানোই হবে সব্দ বের করতে শেখার পরের কাজ।

Flute, Bansuri, বাঁশি, बांसुरी

আওয়াজ বের করার সঠিক যায়গাটি পেয়ে থাকলে, এবার আমরা প্রথম অনুশীলনটি করতে পারি। বাঁশি বাজাতে দমের সাধনা খুবই জরুরি। মনে রাখতে হবে, শ্বাস নিতে হবে পেট থেকে। একসঙ্গে যতটুকু পারা যায় শ্বাস নিয়েই ধিরে ধিরে তা দিয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী আওয়াজ বের করার চেষ্টা করতে হবে এবার। বাতাসটি মূলত প্রধান ছিদ্রটির ভেতরের দেয়ালে আঘাত করে সারা বাঁশিতে ছড়িয়ে গিয়েই আওয়াজ উৎপন্ন হয়। শ্রুতিমধুর আওয়াজের জন্য মনে রাখতে হবে, বাঁশিতে ফুঁ দিতে হবে খুবই আস্তে। ফুঁতে। প্রয়োজনের বাইরের যেকোনো জোড় দিলেই বাঁশির আওয়াজ মাধুর্য হারায়ে।

কিভাবে বাঁশি থেকে আওয়াজ বের করবেন, এই নিয়ে বান্সুরি গুরুকুলে, মুস্তাকীম আবীরের ক্লাসটি দেখার আমন্ত্রন রইল। এছাড়া বাঁশি বাজানো শিক্ষা নিয়ে আমাদের গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্কের নিয়মিত ক্লাস প্রকাশিত হচ্ছে। আগ্রহীরা ফলো করতে পারেন।

আরও দেখুন:

পর্ব ১: বাঁশির পরিচিতি

Exit mobile version